এবার টানা সাতদিন ভারী বর্ষণে বান্দরবানে বিভিন্ন এলাকায় পাড়ারধসের ঘটনায় চারজন নিহত ও দুজন নিখোঁজ রয়েছেন। আজ বৃহস্পতিবার ১০ আগস্ট বান্দরবান জেলা প্রশাসক শাহ মোজাহিদ উদ্দিন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
এদিকে নিহতরা হলেন, নাইক্ষ্যংছড়ি সোনাইছড়ি ইউনিয়নের পংসা মারমা (৬০) ও আলীকদম নয়াপাড়া এলাকার মো. মুছা এবং বান্দরবান পৌরসভা ৩ নম্বর ওয়ার্ডের কালাঘাটা এলাকার বাশি শীলের স্ত্রী সন্ধ্যা রানী শীল (৫২), তার মেয়ে বুলু শীল (২২)। তবে মারা যাওয়া মুছা রোহিঙ্গা বলে জানা গেছে। নিখোঁজ ব্যক্তিরা হলেন, নাইক্ষ্যংছড়ি রিও পাড়া এলাকার মেনপয় ম্রো ও বান্দরবান সদর ইউনিয়নের কানাপাড়া এলাকার ছায়াবি তঞ্চঙ্গ্যা (৩৮)।
স্থানীয় প্রশাসন জানান, সাঙ্গু নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় জেলা শহরে নদীর তীরবর্তী, অফিসার্স ক্লাব, ইসলামপুর, আর্মিপাড়া এলাকাসহ নিচু এলাকাসমূহে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। বিভিন্ন স্থানে পাহাড়ধসের কারণে পর্যটকবাহী গাড়ি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। তবে টানা সাত দিনের ভারী বর্ষণে জেলায় চারজন নিহত ও দুজন নিখোঁজ রয়েছেন।
এদিকে নিহত সন্ধ্যা রানীর স্বজনরা জানান, গত সোমবার দুপুরে বাশি শীলের পরিবারের সবাই বাড়িতে অবস্থান করছিল। এ সময় সন্ধ্যা রানী পূজা-অর্চনা এবং বুলু ঘরের বারান্দায় বসে চা পান করছিলেন। পরে হঠাৎ পাহাড়ধসে তাদের ঘরটি চাপা পড়ে। এতে সন্ধ্যা রানী ও তার মেয়ে বুলু শীল মাটির নিচে চাপা পড়েন। পরে সন্ধ্যায় সন্ধ্যা রানীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়। তবে এখনও বুলু শীলের সন্ধান মেলেনি।
এ বিষয়ে বান্দরবান জেলা প্রশাসক শাহ্ মোজাহিদ উদ্দিন জানান, কয়েক দিন ধরে ভারী বৃষ্টিপাত শুরু হওয়ায় জেলার বিভিন্ন স্থানে পাহাড়ধস হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত সবাইকে খুঁজে বের করার চেষ্টা চলছে। জেলা প্রশাসন, সেনাবাহিনী, পুলিশ, ফায়ার সার্ভিস একসঙ্গে সমন্বয় করে কাজ করছে। তবে বান্দরবান জেলায় সর্বমোট ১৯৩টি আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছে।